Posts

Showing posts from September, 2018

এক'পা দু'পা করে হাটি

Image
মো: নাজমুল হক অামিতো নরাধম ফেলছি কদম চলছি নিরাশার পানে, চকিতে দাড়াই কোন অাশা ছাড়াই শুনে কারও সুর গানে। ভুল সবই বুঝি তবুও খুঁজি পিছু ডাকে নাকি কেউ, হঠাৎ চেয়ে দেখি সত্যিই একি! অাছে মোর ছায়ার ফেউ। অাবারও চলি অযথাই বলি নিজের কথা নিজেরই সাথে, ধূলিমাখা পথে ভাঙ্গা মনোরথে দ্বিপ্রহর নিশি প্রাতে। ভেবেছিলাম যা ছিলোনাতো তা কোনকালে মোর দ্বারে, নাইতো অার কিছু নেবে মোর পিছু তাই গেল সব ছাড়ে। প্রকৃতিই চায় এ অাত্বা যেন পায় ধরণীর যত তরল গরল, তাইতো যুঝিনা কোন কিছু খুঁজিনা চলছি নিরাশার পথ সরল। অাঁকি পদচিহ্ন করে নোংরা ছিন্ন পবিত্র এ ধরার মাটি, শুণ্য হাতে তাই তবুও এগিয়ে যাই এক'পা দু'পা করে হাটি। ২১.৯.১৮

সুখের অাশায়

Image
-মো: নাজমুল হক সুখের অাশায় ঘুরলাম অামি কত অলিগলি, সুখের অাশায় কত সময় দিলাম জলাঞ্জলি। সুখের অাশায় থেকে থেকে হলাম কাষ্ঠ হৃদয়, সুখের অাশায় ভিতর বাহির করলাম শুধু ক্ষয়। সুখের অাশায় যে ডালে বসি দেখি সেথা কাঁটা, সুখের অাশায় ধরার বুকে নিত্য মিছে হাটা। সুখের অাশায় বেচে থাকি মরার অপেক্ষায়, সুখের অাশায় অগ্নিপানে নিত্য এ মন ধায়। সুখের অাশা ত্যাগ করলাম হলাম বনবাসী, সুখের অাশায় দেখবোনা অার কারও বাঁকা হাসি। ১৩.৯.১৮

ভাবিসনা

Image
মিলিয়ে দেখলাম সত্যি অামি নইতো কেউই তোর, খুজে নিয়েছিস নতুন ভুবন নিত্য নতুন ভোর। খোলা অাকাশে ছেড়ে দিলাম উড়িস মেলে ডানা, তোকে চিনতে ভুল ছিল মোর ছিলামযে দিনকানা! সাঁতার কাটিস রুপ সাগরে মেলে রঙ্গিন পাখা, ছাড়ার জন্য ছটফটালে যায়না ধরে রাখা। অাজকে হয়তো তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলবি মনের স্বাদে, তোর সুখেতে অামার মনটা ভাবিসনা অার কাঁদে। ০৮.৯.১৮

জুয়ারী

Image
-মো: নাজমুল  হক বাজি ধরেছিলাম বিশ্বাস নিয়ে গো হারা হেরে গেছে তা, বাজি ধরেছিলাম স্বপ্ন নিয়ে ভেঙ্গে গেছে নিয়ে -ছিল যা। বুকফাটা এক বিদীর্ণ হাহাকার অাকাশ ছাপিয়ে উড়ে, তাঁকে কাছে রাখার সকল চেষ্টা অারও বেশি নিল তাঁরে দুরে। অার নাই কোন শব্দের মালা অার নাই লেনাদেনা, বহু কষ্টের মাশুল দিয়ে হয়ে গেছে তাঁরে চেনা। এবার শুধুই মেঘলা অাকাশ না ঝরা অশ্রুজল, অনেক দেরিতে ধরা পড়ল সবই ছিল তাঁর ছল। ফিরব এবার মরুদ্যানে ফিরব শুণ্য বাড়ি, মানুষের কাছে হেরে গিয়ে অামি হলাম অাজ জুয়ারী। ০৭.৯.১৮

শেষ

Image
-মো: নাজমুল হক প্রকৃতির ঝড় ভাঙ্গে বাঁধা ঘর মনের ঝড় দেখেনা কভু কেউ, শত অব্যক্ত ব্যথা জেনে -বুঝে সব কথা না বোঝার ভান করে চলে যায় সেও। মুখে দেখে হাসি শুনে পাতার বাঁশি ভাবে -ভাল অাছি না জানি কত! নিজেকে মেলে ধরে ব্যাকুলতা দুচোখ ভরে মেলে লাঞ্চনা-অভিশাপ শত শত। বাড়িয়ে দু'হাত করেছি প্রাণপাত ধরে রাখা যায়নিতো তারে, ফাঁকা দৃষ্টি জুড়ে জোনাকির মত কিছু ঘুরে শুণ্য হৃদয় মরে শুধু হাহাকারে। হয়তো এখানেই শেষ অাছে সুখে অাছে বেশ ভাল মন্দ জানবোনা কভু, চাইনা কিছু অার হারিয়েছি -যা হারাবার ধৈর্য যেন দাওগো হে প্রভু। ০৬.৯.১৮

চলো

চলো ---------- চলো হে পথিক -একা একা দিগন্ত রেখা ধরে, ঝরে পড়ুক সব চাওয়া পাওয়া শুকনো পাতার মত করে। যা ছিল তোমার বড়ই সস্তা মিলেনি এতটুকু দাম, নিয়তির দেয়া শত লাঞ্ছনা করে চল প্রণাম। নরম কোমল স্বপ্ন যত দিয়ে চল জলাঞ্জলি, তাচ্ছিল্যের যত শব্দমালা ভরে নাও অঞ্জলি। চেয়ে দেখোনা কানে শুনোনা যা অাছে চারিপাশ, সুখের চেষ্টায় প্রাণপাত করে অার নয় সর্বনাশ। লাল নীল রংয়ে রাঙ্গা দুনিয়ার মানুষ যে বহুরুপি, চলো ছায়াকে সঙ্গীনি করে নিজে নিজে সব যপি। ০৫.৯.১৮

তুই

Image
তুই অামার সর্ষে ইলিশ অামন ধানের মুড়ি, মাঝ অাকাশে বহু রঙ্গের লাটাই বাঁধা ঘুড়ি। তোকে নিয়েই জীবন তীরে কুড়াই প্রেমের নুড়ি, ভাবিস না তুই ছাড়ব তোকে হয়ে গেলে বুড়ি। তুইতো অামার মন বাগিচার গোলাপ ফুলের কুঁড়ি, বৃষ্টি ভেজা সন্ধ্যা রাতে ধোঁয়াটে ডাল-পুরি। তুইযে অামার ভালবাসার তলাবিহীন ঝুড়ি, যতই তোকে দিয়ে গেলাম জমলোনা এক কড়ি। তুই-ই অামার মুক্ত অাকাশ হৃদয় হানা ছুরি, সারা জীবন রাখিস হাতে বানিয়ে কাঁচের চুঁড়ি। ০৫.১২.১৬

দড়ি চুরি

জেলখানায় সদ্য কয়েদিকে জেলার জিজ্ঞেস করলেন, কী অপরাধে তুমি এখানে এসেছ? - এক টুকরো, ধরুন এই হাত চারেকের মতো দড়ি চুরির অপরাধে। - এক টুকরো দড়ি চুরির অপরাধে তোমার এক বছরের জেল হয়ে গেল! এ হতে পারে না। - দড়ির মাথায় একটা গরু অবশ্য বাঁধা ছিল!

ঈদের কেনাকাটা

বিচারক: আপনার অপরাধ? অভিযুক্ত ব্যক্তি: আমি আমার ঈদের কেনাকাটা একটু আগেভাগে সেরে ফেলতে চেয়েছিলাম। বিচারক: কতখানি আগে? অভিযুক্ত ব্যক্তি: দোকান খোলার আগে।

তিন অাসামি

তিন অপরাধীকে পাঁচ বছরের জন্য কারাভোগের শাস্তি দেওয়া হয়েছে। বিচারক সদয় হয়ে তাদের একটা সুযোগ করে দিলেন। জেলখানায় সময় কাটানোর জন্য তারা চাইলে সঙ্গে কিছু নিতে পারবে। প্রথম অপরাধী সঙ্গে নিল একটা খাতা আর কলম। দ্বিতীয়জন সঙ্গে নিল একটা রেডিও। আর তৃতীয়জন নিল এক বাক্স সিগারেট। পাঁচ বছর পর প্রথমজন যখন বেরিয়ে এল, তখন দেখা গেল, জেলখানায় তার সময় ভালোই কেটেছে। জেলের জীবন নিয়ে সে একটা উপন্যাস লিখে ফেলেছে। দ্বিতীয়জনও আছে বেশ ফুরফুরে মেজাজে। জেলখানায় গান শুনে তার চমৎকার সময় কেটেছে। তৃতীয়জন বেরিয়ে এল বিধ্বস্ত অবস্থায়। চুল উসকোখুসকো, উন্মাদপ্রায় দশা। বাক্সভর্তি সিগারেট হাতে নিয়ে সে কাতরস্বরে বলল, ‘কারও কাছে একটা দেশলাই হবে?’

পলাতক অাসামি

দুই কয়েদি পালিয়েছে জেল থেকে। আবার যখন তাদের আটক করা হলো, কারারক্ষক প্রশ্ন করলেন, ‘তোমরা জেল থেকে পালিয়েছিলে কেন?’ ১ম কয়েদি: কারণ, জেলখানার খাবার খুবই জঘন্য। খাওয়া যায় না। কারারক্ষক: কিন্তু তোমরা জেলের তালা ভাঙলে কী দিয়ে? ২য় কয়েদি: সকালের নাশতার রুটি দিয়ে!

A WITTY REPLY

Rahul was a sharp and intelligent boy. One day, his father got back from his office and called him in a harsh tone. Rahul got frightened and came immediately. He thought, "Dad just arrived from his office. Why is he calling me so harshly? Is he angry with me?" Father said in a rough tone, "Coincidentally, I met your teacher and she told me that everyday you reach school late. Why?" Rahul thought for a while and said, "I'm not responsible for anything. They ring the school bell before I reach the school." Father praised Rahul for such a witty answer, but asked him to reach the school on time.