ফকিরনামা- (পর্ব-২)
ফকিরনামা- (পর্ব-২)
অামার এক অাত্বীয়র পাশের বাড়িতে এক দিনমজুর ছিল। ছেলেমেয়ের সংখ্যা ছিল ৫/৬ জন। দিনমজুরি করে যা রোজগার করতো তাতে প্রতিদিনের অাহার জুটতোনা। ঘরে ছিল তার বৃদ্ধ মা।তাকেও ঠিকমত খেতে দিতে পারতোনা। লোকটি হঠাৎ করেই কোন এক অসুখে পরে দুচোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেন। পরিবারের ছোট ছেলেমেয়েদের মুখে খাবার তুলে দেবার মত অারকোন পথ না থাকায় সে ভিক্ষা করা শুরু করে। প্রতিদিনই কোন এক ছেলেকে সাথে নিয়ে তিনি সকাল বেলায় বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে গিয়ে ভিক্ষা করা শুরু করেন। এতে তার রোজগার বেশ ভাল হতে থাকে। ভাঙ্গা ছনের ঘর ১ বছরের মাথায় টিনের ঘরে রুপ নেয়। ছেলেমেয়েরা অার না খেয়েও থাকেনা। ২/৩ বছর পর তিনি মাঠে একটি ডিজেল চালিত সেচ পাম্পও বসালে। ফলাফল- অতি শীঘ্রই তিনি স্বচ্ছল গৃহস্থে পরিণত হন। শুধু তাই না,শরীর স্বাস্থ্য ভাল অার গলার অাওয়াজ বেশি থাকায় শীঘ্রই নিজ এলাকার সমস্ত ফকিরের সর্দার হয়ে যান! অর্থাাৎ, কোন ফকির কোন এলাকায় ভিক্ষা করবে,কোন এলাকার দাওয়াতে কে কে যাবে,হাটবারে কে কোন যায়গায় বসবে সবই তারর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হতো! অামার অাত্বীয় যিনি সম্পর্কে অামার তালই হন, সে একদিন জিজ্ঞেস করলো,"কলিম(ছদ্দনাম) ভিক্ষায় অায় রোজগার তাইলে ভালই হইতাছে,নাকি?" উত্তরে কলিম বলে," হ্যা চাচা, অাগে কামলা দিয়া ভাত পাইতামনা,ভাঙ্গা ঘরে থাকছি,এহন মাশাঅাল্লাহ ভিক্ষা কইরা সব কষ্টই দুর ওইছে। তয় চাচা মনডায় কয়,হেই কানা ওইলাম,অারও ১০ বছর অাগে ক্যান কানা ওইলামনা!"
অামার এক অাত্বীয়র পাশের বাড়িতে এক দিনমজুর ছিল। ছেলেমেয়ের সংখ্যা ছিল ৫/৬ জন। দিনমজুরি করে যা রোজগার করতো তাতে প্রতিদিনের অাহার জুটতোনা। ঘরে ছিল তার বৃদ্ধ মা।তাকেও ঠিকমত খেতে দিতে পারতোনা। লোকটি হঠাৎ করেই কোন এক অসুখে পরে দুচোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেন। পরিবারের ছোট ছেলেমেয়েদের মুখে খাবার তুলে দেবার মত অারকোন পথ না থাকায় সে ভিক্ষা করা শুরু করে। প্রতিদিনই কোন এক ছেলেকে সাথে নিয়ে তিনি সকাল বেলায় বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে গিয়ে ভিক্ষা করা শুরু করেন। এতে তার রোজগার বেশ ভাল হতে থাকে। ভাঙ্গা ছনের ঘর ১ বছরের মাথায় টিনের ঘরে রুপ নেয়। ছেলেমেয়েরা অার না খেয়েও থাকেনা। ২/৩ বছর পর তিনি মাঠে একটি ডিজেল চালিত সেচ পাম্পও বসালে। ফলাফল- অতি শীঘ্রই তিনি স্বচ্ছল গৃহস্থে পরিণত হন। শুধু তাই না,শরীর স্বাস্থ্য ভাল অার গলার অাওয়াজ বেশি থাকায় শীঘ্রই নিজ এলাকার সমস্ত ফকিরের সর্দার হয়ে যান! অর্থাাৎ, কোন ফকির কোন এলাকায় ভিক্ষা করবে,কোন এলাকার দাওয়াতে কে কে যাবে,হাটবারে কে কোন যায়গায় বসবে সবই তারর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হতো! অামার অাত্বীয় যিনি সম্পর্কে অামার তালই হন, সে একদিন জিজ্ঞেস করলো,"কলিম(ছদ্দনাম) ভিক্ষায় অায় রোজগার তাইলে ভালই হইতাছে,নাকি?" উত্তরে কলিম বলে," হ্যা চাচা, অাগে কামলা দিয়া ভাত পাইতামনা,ভাঙ্গা ঘরে থাকছি,এহন মাশাঅাল্লাহ ভিক্ষা কইরা সব কষ্টই দুর ওইছে। তয় চাচা মনডায় কয়,হেই কানা ওইলাম,অারও ১০ বছর অাগে ক্যান কানা ওইলামনা!"
Comments
Post a Comment